আমার কথা

একটি কথা না বললেই নয়। আমার বন্ধুরা আপনারা দেখে থাকবেন হয়তো আমার সব ব্লগ এবং ওয়েবগুলোতে জাতির জনক বংগবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিষয়াদিই সবচে' গুরুত্ব পেয়ে থাকে। আমি সব সময় তাদের কথাই বলি কারন এর ছাড়া আমার নিজের কোন কথা বলার নেই। কারন আমার তো কোন অবদান জাতির জন্য, দেশের জন্য সর্বোপরি দেশের মানুষের জন্য নেই বা ছিলোওনা। কাজেই ঘুরে ফিরে আমার এই ১৬০ টি ব্লগ এবং ওয়েব সাইটে জাতিরজনক এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার কথাই বলার চেষ্টা করেছি। আমার এই প্রবাসের এতোগুলো বছরে গড়ে তোলা সেই যে যেদিন থেকে ইন্টারনেট চালু হল সেদিন থেকে অদ্যাবধি এই যে অবিরাম কম্পিউটারে বসে বসে দিন নেই রাত নেই যে ছবিগুলো দেখতে অসুন্দর, সেটিকে সুন্দর করার ব্যর্থ প্রয়াস।অনেকগুলো আবার অনেক সময় কি জানি প্রফেশনাল ডিজাইনারদের কাজের চেয়েও অনেক সুন্দর হয়ে গেছে। যা' আমার সব ব্লগগুলোতে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। কোন নেতা আমার প্রশংসা করলো বা কোন নেতা আমার সাইটতুলো দেখলো বা না দেখলো তাঁর জন্যে আমি এতোটুকু পিপাসিত নই, কষ্ট লাগবে যদি আমার অক্ষমতার কারনে এ গুলো ক্রমানয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায়।সেই যে মুক্তিযদ্ধ শেষে জাতিরজনক আমাকে চাকুরী দিলেন। পেয়েছিলাম জীবনের ঠিকানা কিন্তু পথভ্রষ্ট পথিক হারিয়েছে তাঁর গন্তব্যের ঠিকানা। জীবনের ১৮ টি বছর এই দেশের সরকার/সরকারী আমলা সকল রাজনইতিক দল ও তাদের কর্মকাণ্ড একান্ত নিকট থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই খুনি মোস্তাক থেকে শুরু করে আব্দুস সাত্তার, সায়েম,জিয়া এই এরশাদ পর্যন্ত সবার সাথেই হাত মেলানোর অনেকবার সুযোগ পেয়েছি। একান্ত কাছে থেকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে দেখার সুযোগ আমার হয়েছিলো। বক্ষে জড়িয়ে ধরে হু হু করে বোকার মতো কেদেছিলাম নেদারল্যান্ড থেকে আসা এক ঝাক সাংবাদিক, মরহুম আবু সাঈদ চৌধুরী, তাজুদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মন্সুর আলী,সয়েদ নজরুল ইসলাম এর সামনে যেদি প্রথম জাতিরজনকের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলাম ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। জাতির জনকের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী হলেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে নেত্রীত্ব দেবার সুযোগ পাইনি। যতোটা পেরেছি কাজ করেছি। গান লিখেছি, সুর দিয়েছি, গেয়েছি। সেটি জীবীকার নিষ্ঠুর প্রয়োজনে এবং আমার সঙ্গীত সাধনা থেকে পিছিয়ে পড়ার ভয়ে। আমার সে সচিবালয়ের চাকরীটি ১৯৯১ সালে হারিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম । সেই যে পালিয়ে বেড়ানো আর তো ঘরে ফেরা হয়নি। আজ আই শেষ বয়সে ঘরে ফিরতে ভীষণ ইচ্ছে করেফিরে পেতে ইচ্ছে করে জিপিও অফিসের সামনের পুলিশ ও জনতার দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণহীন সংঘর্ষের সেই সে ১৯৯০ সাল। নিজের চাকরী ফেলে আওয়ামী লীগ অফিসে আড্ডা দেয়া আর আলো হ্যালোর সাথে পুলিশের টিয়ার গ্যাস ক্যাস করে আবার পাল্টা পুলিশের গায়ে ছুঁড়ে মারা। ইচ্ছে করে ২৩ ন্য বঙ্গবন্ধু এভিনিউ তে আওয়ামী লীগের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর গান গাইতে। আজ কেনো হঠাত এ কথা লিখছি। আমি নিজেও জানিনা। তবে হ্যা, বন্ধুগণ, যদি আমি মুক্তি সব কিছু ফেলে চলে যাই, তাহলে আমার এই সব ব্লগগুলো চলবে কিনা? কে করবে এর আপডেট অথবা সংস্করণ? যাকে আমার সব পাসওয়ার্ড দিয়ে যেতে পারি। এ ব্লগগুলো যেন চলে অনাদিকাল পর্যন্ত যতোদিন থাকে এই বিশ্ব ভ্রমান্ড, নেতা নেত্রী দল সরকার জনগণ আর জাতিরজনকের এই সুন্দর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।http://muktimusician.weebly.com

As desired by the Honorable Prime Minister/President of Bangladesh Awami League, Deshratna Sheikh Hasina and Home Minister Adv. Sahara Khatun to publish the whole story of Masterminds Bangabandhu killings on 15 august 1975 and 21 Grenade attack to awami league rally’s in 2004 to kill Sheikh Hasina and Awami leaders including brutal torture, rape and money laundering story of 2001-2006 by bnp jamat. Please tell your friends and well wisher to send this message to all of our beloved awami league, jubo league, chatro league, volunteers league, soinik league, Bangabandhu porisad, Bangabandhu ainjibi porisad & other co organization of BAL worldwide.

Monday, July 4, 2011

21 August Grenade Attack to Sheikh Hasina: Wanted Tareq Rahman


গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

২০০৪, ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক রক্তাক্ত দিন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে নৃশংসভাবে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হলো। আল্লাহর অশেষ রহমতে ব্যর্থ হলো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন শেখ হাসিনা। সাত বছর পর গতকাল রোববার আদালতে অভিযুক্ত ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। ২০০৮ সালের ১১ জুন মামলার প্রথম চার্জশিটে আসামি ছিলেন ২২ জন। এ নিয়ে গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি হলেন ৫২ জন। চার্জশিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক সাংসদ কায়কোবাদসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় রয়েছেন শীর্ষ পর্যায়ের সাবেক চার সেনা কর্মকর্তা ও পুলিশের তিন সাবেক আইজি। তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় দুই জঙ্গি। গতকাল রাতেই তারেক রহমানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের মধ্যে ২৫ জন কারাবন্দি। সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ১৮ জন পলাতক। ১১ জন কারাবন্দি। জামিনে আছেন ঢাকা সিটির ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান। 
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবল্পুব্দ এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন প্রাণ হারান। আহত হন পাঁচ শতাধিক। চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্বের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান। ঘটনার পর মতিঝিল থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মূল কুশীলবদের বাঁচানোর জন্য বিগত চারদলীয় জোট সরকার গ্রেনেড হামলার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জমজমাট জজ মিয়া নাটক সাজায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ওয়ান-ইলেভেনের পর ফের মামলার তদন্ত শুরু হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির এএসপি ফজলুল কবীর। ঘটনার ৪৬ মাস পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডি অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই অভিযোগপত্রে মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গ্রেনেডের উৎস ও মদদদাতাদের শনাক্তের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর আদালত মামলার বর্ধিত তদন্তের আদেশ দেন। ২০০৯ সালের ১৩ আগস্ট তদন্ত শুরু করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দ। গতকাল সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলার তদন্ত শেষ হলো।

আদালতে সম্পূরক চার্জশিট : গতকাল দুপুর সোয়া ২টায় দুটি ট্রাঙ্কে করে অভিযোগপত্র ঢাকার আদালতে নিয়ে যান পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক সামিউল বাসিত। বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিক্ষোভের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ কমিশনার আবদুল কাহ্হার আকন্দ স্বাক্ষরিত চার্জশিট ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দাখিল করা হয়। গ্রেনেড হামলার সাত বছর ও বর্ধিত তদন্তের আদেশের প্রায় দুই বছর পর এ সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিট দাখিল উপলক্ষে গতকাল আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ঢাকা মহানগর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগপত্রের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, তারেক রহমান হামলার পরিকল্পনা ও আসামিদের পালিয়ে যেতে প্রশাসনিকভাবে সহায়তা করেছেন। সাক্ষীদের জবানবন্দিতে এ তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেনেড হামলার উৎস, সরবরাহ ও মদদদাতা হিসেবে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাদের আসামি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলে জানা যাবে, কীভাবে তারা হামলার পরিকল্পনা ও সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এ গ্রেনেড হামলা করেছিল। হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহত হলে বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় থাকা নিরঙ্কুশ হতো। তাদের কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকত না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা ব্যক্তিগতভাবে হেয় করার জন্য কাউকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি। বর্ধিত তদন্তে নতুন করে ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। প্রথম চার্জশিটে রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল, আবদুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমুসহ ৪০৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। আলামত জব্দ দেখানো হয়েছিল ৬৯ ধরনের।

এদিকে হানিফ পরিবহনের মালিক মোঃ হানিফের চার্জশিটভুক্তির বিষয়ে সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায় যে ষড়যন্ত্র বৈঠক হয়, সে বৈঠকে হানিফ উপস্থিত ছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। একই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুর রহমান। মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক ও লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার গ্রেনেড সরবরাহকারী হুজি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিনকে ভিন্ন নামে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। এমনকি গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার কথাও তারা জানতেন। 
পুলিশের সাবেক তিন আইজিসহ যে আট কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার সময় পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও গ্রেনেড হামলার বিষয়টিকে তারা গুরুত্বসহকারে নেননি। এমনকি ঘটনার এক বছর পর মুফতি হান্নান র্যা বের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর গ্রেনেড হামলার বিষয়ে তার কাছ থেকে কোনো তথ্য আদায়ে তৎপর ছিলেন না এসব পুলিশ কর্মকর্তা।
সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা গতকাল রাতে সমকালকে বলেন, চার্জশিটের আসামি হওয়ায় তিনি হতবাক। তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। তিনি বাসায় রয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। আজ সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন তিনি।

সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার সময় আশরাফুল হুদা বিদেশে থাকলেও দেশে ফেরার পর গ্রেনেড হামলার ঘটনা তদন্তে কোনো উদ্যোগ নেননি। দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে ওই সময় মামলাটির অগ্রগতির বিষয়ে দেখভাল করেননি।
আইনজীবীদের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল : সম্পূরক চার্জশিটে লুৎফুজ্জামান বাবর, তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীসহ 'মূল হোতাদের' নাম থাকায় আদালত অঙ্গনে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা। তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের চার্জশিটভুক্ত করার প্রতিবাদে একই সময় মিছিল করেছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। 
আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরুর নেতৃত্বে দুই শতাধিক আইনজীবী সিএমএম কোর্ট এলাকা থেকে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি আইনজীবী সমিতি এলাকা হয়ে সিএমএম কোর্ট ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে আইনজীবীরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

অন্যদিকে একই সময় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি আদালত চত্বর থেকে রাস্তায় যেতে চাইলে সিএমএম কোর্টের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় আইনজীবী নেতারা বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে।
সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত ৩০ আসামি (আসামির ক্রম অনুযায়ী) : সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাংসদ শাহ মোফাজ্জল হুসাইন কায়কোবাদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ, বিএনপির ঢাকা মহানগর শাখার নেতা ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির (আইডিপি) আহ্বায়ক মাওলানা আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে গোলাম মোস্তফা, হুজি নেতা মাওলানা আবদুর রউফ, হুজির নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হান্নান ওরফে সাবি্বর, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, বিএনপি নেতা আবদুল সালাম পিন্টুর ছোট ভাই রাতুল আহমদ বাবু ওরফে বাবুল, ডিএমপির তৎকালীন ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, ডিআইজি সাঈদ হাসান খান (ঘটনার সময় ডিএমপির দক্ষিণ বিভাগের ডিসি), সাবেক আইজিপি মোঃ আশরাফুল হুদা (ঘটনার সময় ডিএমপি কমিশনার), সাবেক আইজিপি শহুদুল হক, সিআইডির সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, সিআইডির সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সাবেক আইজিপি খোদা বখস্ চৌধুরী (ঘটনার সময় সিআইডির প্রধান), খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার ও মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন। 

গ্রেফতার ১১ জন : সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত ১১ জন কারাবন্দি। তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির (আইডিপি) আহ্বায়ক মাওলানা আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে গোলাম মোস্তফা, হুজি নেতা মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, হুজির নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হান্নান ওরফে সাবি্বর ও খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক।
যে ১৮ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হুসাইন কায়কোবাদ, হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ, ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার (বরখাস্ত), মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, হুজি নেতা হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, বিএনপি নেতা আবদুল সালাম পিন্টুর ছোট ভাই রাতুল আহমদ বাবু ওরফে বাবুল, সাবেক আজিপি শহুদুল হক, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, সাবেক আইজিপি খোদা বখস্, ডিএমপির তৎকালীন ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, ডিআইজি সাঈদ হাসান খান, সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ও সিআইডির সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ।
প্রথম চার্জশিট ও বিচার : দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার ৪৬ মাস পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির সিনিয়র এএসপি ফজলুল কবির ২২ জনকে আসামি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা দুটি একই বছর দ্রুত বিচার আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ২১ আগস্টের ঘটনায় বিস্ফোরক মামলার বিচার চলছে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালতে। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ চেমন চৌধুরীর আদালতে চলছে হত্যা মামলার বিচার। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। আদেশে নেপথ্য মদদদাতা ও গ্রেনেডের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বলা হয়। এরপর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দ মামলাটির অধিকতর তদন্ত শুরু করেন। অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার জন্য ১৩ দফা সময় বাড়িয়েছেন আদালত।
যারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন : বর্ধিত তদন্তকালে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মাওলানা আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ও মামলার প্রথম চার্জশিটভুক্ত আসামি হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও আবু জান্দাল।

তাজউদ্দিনকে বিদেশে পাঠানো হয় : ২০০৫ সালের অক্টোবরে মুফতি হান্নানকে গ্রেফতারের পর জানাজানি হয়, গ্রেনেড সরবরাহে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ছোট ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন। এ কারণেই মাওলানা তাজউদ্দিনকে 'মোঃ বাদল' নামে রাজশাহীর ঠিকানায় একটি পাসপোর্ট করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ভয় নেই : হুজির সামরিক কমান্ডার আফগান যোদ্ধা মাওলানা আবদুর রউফ তার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ও উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সহায়তায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি)। সাবেক এ দুই মন্ত্রীর মাধ্যমে এ জঙ্গি সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করত হাওয়া ভবন। এ ছাড়া মুফতি হান্নান তাকে জানিয়েছিলেন, 'আমাদের সঙ্গে মন্ত্রী ও হাওয়া ভবন আছে। আমাদের ভয় নেই।'

সাক্ষী হিসেবে যারা জবানবন্দি দিয়েছেন : লে. কমান্ডার (অব.) মিজানুর রহমান, লে. কর্নেল (অব.) আফজাল নাছির ভূঁইয়া, মেজর জেনারেল (অব.) সাদেক হাসান রুমী, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মেজর (বরখাস্ত) মনিরুল ইসলাম, র্যা বের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের সাবেক কর্মকর্তা মেজর আতিকুর রহমান, সিআইডির সাবেক প্রধান ফররুখ আহমেদ, ডিএমপির পূর্ব বিভাগের তৎকালীন এডিসি মোস্তফা কামাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আনোয়ারুল ইকবাল, সাবেক আইজিপি শহুদুল হক, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, ডিএমপির সাবেক কমিশনার মিজানুর রহমান, সিআইডির ডিআইজি শামছুল হক, সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম, বেসরকারি সংস্থা আল-মারকাজুল ইসলামীর ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি আবদুর রশিদ, ভারতীয় জঙ্গি মাজেদ ভাটের স্ত্রী মনোয়ারা সুলতানা, শাশুড়ি নাহিদ লায়লা প্রমুখ।
প্রথম চার্জশিটে আসামি যারা : প্রথম চার্জশিটভুক্ত ২২ আসামির মধ্যে ১৪ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান, তার ভাই মফিজুর রহমান ওরফে অভি, আবুল কালাম আজাদ, শরিফ শহিদুল ইসলাম ওরফে বিপুল, মাওলানা আবু সাই ওরফে ডা. আবু জাফর, জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ ওরফে তামীম, মুফতি মইন উদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, রফিকুল ইসলাম গাজী ওরফে সবুজ, উজ্জ্বল ওরফে রতন ও শাহদাত উল্লাহ জুয়েল।
প্রথম চার্জশিটে পলাতক ছয় আসামি : গ্রেনেড সরবরাহকারী মাওলানা তাজউদ্দিন (টাঙ্গাইল), মোঃ ইকবাল (ঝিনাইদহ), মাওলানা আবু বকর (বরিশাল), মোঃ খলিলুর রহমান (মাগুরা), জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর (দোহার, ঢাকা) ও মাওলানা লিটন ওরফে জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার (গোপালগঞ্জ)। এ ছাড়া দুই আসামি দুই যমজ ভাই ভারতের দিলি্লর তিহার জেলে আটক আনিসুল মোরসালিন ও মহিবুল মোত্তাকিন (ফরিদপুর)।

No comments:

Post a Comment

thanks for your important comments